দেশ লিড নিউজ

দলবদলুদের ফেরাতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস

একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন বহু নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই তাঁরা পুরনো দলেই ফিরতে চেয়ে নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। সোনালী গুহ থেকে দীপেন্দু বিশ্বাস, ইতিমধ্যে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন অনেকেই। এখন প্রশ্ন হল, ‘দলবদলু’দের ভবিষ্যৎ কী? কারণ তৃণমূল সূত্রে খবর, এখনই তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর আজই প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকে বসবে শাসকদল। ১৮ জনকে নিয়ে প্রথমে হবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। তারপর শুরু হবে সাংগঠনিক বৈঠক। যেখানে উপস্থিত থাকবেন দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি। তৃণমূল সূত্রে খবর, আজকের বৈঠকেই ‘দলবদলু’দের নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ‘দলবদলু’রা শুধু দল ছাড়েননি, বরং দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিষোদগার করেছেন। বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দলের ক্ষতি করেছেন। এখন দলের সুসময়ে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে, অসময়ে দলের জন্য জীবন বাজি রেখে যাঁরা লড়েছেন, তাঁদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই ‘দলবদলু’দের এখনই দলে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বরং আরও কিছুদিন তাঁদের অপেক্ষায় রাখা প্রয়োজন। এই বিষয়ে সাংসদ সৌগত রায় সাফ জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মাস ‘দলবদলু’দের ফেরানো উচিত নয়।
আজকের বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব বাড়ানো হতে পারে। যুব তৃণমূল থেকে তাঁকে মাদার তৃণমূলে আনা হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’–এর দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। আবার বড় সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনাও রয়েছে। শুরু হতে পারে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। অর্থাৎ যে সমস্ত মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তরুণ প্রজন্মকে সংগঠনের দায়িত্বে তুলে আনা হতে পারে। কারণ সামনেই পুরসভা ভোট। তারপর পঞ্চায়েত ভোট। বুথ স্তরের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিতে পারেন দলনেত্রী। সঙ্গে থাকবেন পিকে।