ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

সব ওয়ার্ডে লিডের লক্ষ্যে তৃণমূল

ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে কোমর বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব ওয়ার্ডেই চাই লিড। ঝাঁপিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। যে ৭০ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল তুলনায় দুর্বল, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে পিছিয়ে ছিল, সেই ওয়ার্ড দু’টি থেকেও এবার জয়ের আশায় তৎপরতা বাড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। এই দু’টি ওয়ার্ডে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা।

এই বিধানসভা কেন্দ্রে মোট আটটি ওয়ার্ড রয়েছে। ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ এবং ৮২। তার মধ্যে দু’টি ওয়ার্ড ছাড়া গত বিধানসভা নির্বাচনে সবকটিতেই লিড পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ের ব্যবধান ছিল ২১ হাজারেরও বেশি। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের খাসতালুক ৮২ নম্বর ওয়ার্ডও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড দিয়েছিল। কিন্তু শাসকদলের চিন্তা ৭০ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডকে ঘিরে।

তৃণমূলের বেশি চিন্তা ৭০ নম্বর ওয়ার্ডকে নিয়ে। কারণ, এই ওয়ার্ডে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ ভোটারই অবাঙালি। ভোটের ইতিহাস বলছে, এই ওয়ার্ড বরাবরই বিজেপি’র দিকেই ঝুঁকে রয়েছে। ‘দিদি’ এবার নিজেই প্রার্থী। যা দলের কাছে অবশ্যই বাড়তি ডিভিডেন্ট। তাছাড়া, যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের দৈনন্দিন সমস্যায় পাশে থাকে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাতে আশা করছি এবার এই ওয়ার্ডের মানুষ আশাহত করবেন না।

অন্যদিকে, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের আধিক্য থাকলেও এটি নিয়ে ততটা চিন্তা নেই শাসকদলের। ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর দেবলীনা বিশ্বাসের বক্তব্য, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। তিনি ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। তাঁর নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। ফলে যতটুকু মাইনাস রয়েছে, তা এবার প্লাস হয়ে যাবে। দক্ষিণ কলকাতার দলের সভাপতি দেবাশিস কুমার সব ওয়ার্ডে জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত। তিনি বলেন, দিদি জিতবেন, এই নিয়ে সন্দেহ নেই। আমাদের কাজ রেকর্ড মার্জিনে তাঁকে জেতানো।