অবশেষে জল্পনার অবসান, তৃণমূলনেত্রী দিল্লি যাওয়ার আগেই ঠিক করে দিলেন কাকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করবেন। সকলকে অবাক করে দিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জহর সরকারের নাম ঘোষণা করলেন। তিনি প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা। শনিবার তৃণমূলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে এই খবর জানানো হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তাঁর। কিন্তু গত ১২ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। কারণ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাই, রাজ্যসভার সদস্যপদ ত্যাগ করেন দীনেশ। সেই ফাঁকা জায়গায় উপনির্বাচন হবে আগামী ৯ অগস্ট, সেইদিনই ফল ঘোষণা।
জহর সরকার প্রাক্তন আইএএস। তিনি প্রসার ভারতীর মতো গণ সংবাদমাধ্যমে দীর্ঘদিন সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ফলে রাজ্যসভায় তিনি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবেন বলেই মনে করছে শাসকদল। অপরদিকে, আচমকাই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এমন প্রস্তাব পেয়ে আপ্লুত জহরবাবু। তিনি জানিয়েছেন, “শনিবার সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করে প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি একটু ভেবে তাঁকে জানাই, আমার কোনও আপত্তি নেই”। সূত্রের খবর, জহর সরকারের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্ক বরাবরই ভালো। এর আগেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে জহরবাবু মমতার পক্ষ নিয়েই সরব হয়েছিলেন। আলাপনের বদলির বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি মোদী-অমিত শাহকে তোপ দেগেছিলেন। ফলে এদিন তাঁকেই রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য মনোনয়ন দিয়ে তৃণমূলনেত্রী পরোক্ষে চাপ বাড়ালেন মোদী সরকারের উপর।
You must be logged in to post a comment.