এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে। নতুন সভাপতি হলেন সৌমেন মহাপাত্র। তবে জেলায় দলের চেয়ারম্যান রইলেন শিশিরই। এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে অধিকারীদের দাপট কমাল তৃণমূল কংগ্রেস। ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি যোগ দিয়েছে। বাবা শিশির অধিকারীকে তাই আগেই দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়েছে দল। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
২০২১ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই গত ৪ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন জেলা, ব্লক এবং যুব কমিটি গঠন করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতি উভয়পদেই রাখা হয় কাঁথির সাংসদ শিশিরকে। এর আগে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হয়েছিল শিশির–পুত্র সৌমেন্দু অধিকারীকেও। তার পরই সৌমেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর এবার শিশির অধিকারীকে সরানো হল জেলা সভাপতির পদ থেকেও।
মঙ্গলবার শিশিরকে দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি পদ থেকে অপসারণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সরাসরি দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, বয়সজনিত কারণ এবং অসুস্থতার কারণেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে অখিল গিরিকে। তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকে কাঁথি পুর প্রশাসক বোর্ডে সদস্য করা হয়েছে। এবার শুভেন্দু বিরোধী বলে পরিচিত সৌমেন মহাপাত্রকে জেলা সভাপতি করা হল। যদিও তৃণমূল শিবির বারবারই শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বারবার দাবি করেছেন, শিশির দার বয়স হয়েছে। তাই তিনি একাধিক দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়েছেন।
