জেলা

দলিত ভোট টানতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। ইতিমধ্যেই ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে একটা দোলাচলে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল। তাই এবার দলিতদের ভোট পেতে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাথরাস কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার বিক্ষোভ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলিতদের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন। এবার এই রাজ্যের দলিতদের নিয়ে তৃণমূলের নির্দিষ্ট কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, হিন্দু ভোট তৃণমূল–বিজেপি’‌র মধ্যে বিভক্ত। মুসলিম ভোট বেশিরভাগটাই তৃণমূলের দিকে। তাই কোনও কারণে একটু এদিক–ওদিক হয়ে গেলে ফল মারাত্মক ঘুরে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই এবার দলিত ভোটকে টার্গেট করা হয়েছে।
এবার দলিতদের নিয়ে আলাদা করে ভাবছে তৃণমূল। তাই হাথরাসকে সামনে নিয়ে এসে বিজেপি’‌র মুখোশ খুলে দিতে চাইছে তারা। তাই গোটা অক্টোবর মাস জুড়ে গ্রামে–গ্রামে চলবে দলিতদের নিয়ে নানা কর্মসূচি। আর সেটা ভালভাবে করতে পারলেই ফসল ঘরে তোলা যাবে। দলের অন্দরে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ফল ভাল হয়নি তৃণমূলের। তারপর থেকেই বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮৪টিতেই দলিতদের প্রভাব আছে। এই রাজ্যের মোট ভোটের নিরিখে দলিত ভোট ২৯ শতাংশ। যেখানে ২০১৯ সালের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূল দেখে, ওই ৮৪টির মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ৩৪টি আসনে। আর তারা নিজেরা এগিয়ে ৩৩টি আসনে। তখন থেকেই দলিত ভোটকে ধরতে চিন্তা শুরু করে তৃণমূল।
হাথরাস কাণ্ড বিজেপি শাসনের বিরুদ্ধে যাওয়ায় হাতে ইস্যু পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের দলিত প্রভাবিত গ্রামে গিয়ে এবার থেকে তৃণমূলের দলিত নেতারা রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য কী ভাল কাজ করছে তা জানাবেন। বিজেপি দলিতদের জন্য কিছুই করছে না সেটাও বলা হবে। বিজেপি যে দলিতদের ওপর অত্যাচার করছে, সেটাও সামনে আনা হবে। অক্টোবর মাস জুড়ে বাংলার গ্রামে–গ্রামে চলবে এই কর্মসূচি।