জেলা

ইস্তফা দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী

শুভেন্দু অধিকারীর পথেই হাঁটছেন দিব্যেন্দু অধিকারী? রাজ্য–রাজনীতিতে এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ আটটি প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি আটটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। ছেড়েছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধির পদও। সাংসদের এই পদত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে দলত্যাগের জল্পনা।
পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে দিব্যেন্দু জানান, ওই আটটি প্রশাসনিক পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই তালিকায় আছে হলদিয়া ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, তমলুক, কোলাঘাটের এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লুকের দুটি করে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বিভিন্ন হাসপাতালে সরকার মনোনীত যে পদগুলি আছে, সেগুলিও ছেড়ে দিয়েছেন দিব্যেন্দু।
নভেম্বর মাসে দলের প্রতীক ছাড়া সভা করা শুরু করেছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর ভাই শুভেন্দু অধিকারী। তারপর মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক ও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয় অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দুকে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পরবর্তীতে দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে চলে যান সৌমেন্দু। এরপর শিশির অধিকারীকেও সরানো হয় জেলা সভাপতি পদ থেকে। এরপর শুভেন্দু সভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন রামনবমীর আগে তাঁর বাড়িতে আরও পদ্ম ফুটবে। ফলে দিব্যেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ স্বাভাবিভভাবেই উসকে দিচ্ছে সেই দলবদলের জল্পনা।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিব্যেন্দুকে। এলাকার সাংসদ হিসেবে অনুষ্ঠানে যাবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দুর ভাই। সেই উপস্থিতি নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সূত্র মারফত খবর মিলেছে, স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন দিব্যেন্দু। তাতে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একধাক্কায় আটটি প্রশাসনিক পদ থেকে দিব্যেন্দু ইস্তফা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, এবার কি অধিকারী পরিবারে আরও একটা পদ্ম ফুটছে?