সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে একাধিক কৌশল নিচ্ছে বিরোধী দলগুলি। আপাতত তাদের হাতে অস্ত্র বলতে ফোনে আড়ি পাতা ‘পেগাসাস’ ইস্যু। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলকে একতরফাভাবে কিছুই করতে দেবে না বলে বিরোধীরা। তার জন্যই নানা কৌশল, কর্মসূচির পরিকল্পনা। আগেও দু-একবার বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসেছে কংগ্রেস। আর মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বিরোধী দলগুলিকে ডাকলেন ‘ব্রেকফাস্ট মিটিং’। রাহুলের নেতৃত্বে বৈঠকে যোগ দিলেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রাতরাশ বৈঠকে একাধিক নয়া কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে বলে খবর।
ময়াদিল্লির ঐতিহ্যবাহী কনস্টিটিউশন ক্লাবে প্রাতরাশ বৈঠক ডাকেন রাহুল গান্ধী। তাতে যোগদানের জন্য সকলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও বৈঠকে যোগ দিলেন এনসিপি, শিব সেনা, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি-র প্রতিনিধিরা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে সংসদে বিরোধীদের রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয়।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতারা। তাঁরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন রাহুল গান্ধীর কাছে। ঠিক হয়, সংসদে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে মক পার্লামেন্ট, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি করবেন বিরোধীরা। এছাড়া পেগাসাস ইস্যু তো আছেই।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী ঐক্য আরও মজবুত করার কথাই বলেছেন রাহুল গান্ধী। তবে তারপরই দেখা গেল, বৈঠকে রাহুলের নির্দেশমতো দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব থেকে সোজা সাইকেল নিয়ে সংসদভবনের দিকে রওনা দিলেন সব বিরোধী সাংসদ। দু’চাকায় উঠলেন রাহুল নিজেও। জ্বালানির দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে এভাবে সাইকেল মিছিলের পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন সোনিয়া–পুত্রই।