এবার খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রেই বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারী ডুমুরজলা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা ফাঁকা করে দেব। ঠিক তার পরদিনই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। দল ছাড়ার চিঠি ইতিমধ্যেই তৃণমূল ভবনে ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর তাতেই ফের রাজ্য–রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দীপক হালদারকে। এমনকী ডায়মন্ডহারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কুলতলির সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। অনুপস্থিত ছিলেন অভিষেকের ডায়মন্ডহারবারের সভাতেও। তখন থেকেই জল্পনা ছড়ায় যে এবার হয়তো বিধায়ক দীপক হালদারও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন। আর এবার সেটাই সত্যি হল।
এখন অনেকে মনে করছেন এই বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা! যদিও দীপক হালদার তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু ঘোষণা করেননি। এই দীপক হালদার আবার শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে।
রবিবারই হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির মেগা যোগদান মেলা থেকে শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দেন, ‘২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগণা আরও ফাঁকা করব। তৃণমূল কোম্পানি গড়ার জন্য আর লোক থাকবে না।’ তার পরদিনই দলত্যাগ করলেন বিধায়ক দীপক হালদার। যা রাজ্য–রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে।
