জেলা ব্রেকিং নিউজ

‘‌তৃণমূল মানেই চালচোর–ত্রিপলচোর’‌

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের মধ্যেও বিজেপি’‌র লক্ষ্য একটাই—বাংলার কৃষকদের সমর্থন পাওয়া। তাই শনিবার ঝটিকা সফরে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’–এর সূচনায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নিলেন বাংলার ‘শস্যভাণ্ডার’ বলে পরিচিত বর্ধমানের কাটোয়াকেই। আর সেখান থেকেই তৃণমূল সরকার তথা নেত্রীকে লাগাতার আক্রমণ শানালেন জেপি নাড্ডা। কৃষকদের প্রতি বঞ্চনা, রেশন দুর্নীতি, ত্রাণ দুর্নীতি–সহ একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
জনসভা থেকে তাঁর আত্মবিশ্বাসী সুরে তিনি বলেন, ‘‌কৃষকদের সঙ্গে নিয়েই এবার বাংলার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কৃষকদের জন্য কাজ করবে বিজেপি সরকার। জেনে রাখুন, মমতাদিদি কিছুই করবেন না। কেন্দ্রের ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ বাংলায় চালু করার জন্য আপনি বারবার চিঠি লিখেছেন। কিন্তু আজ ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ শুরু করে দিয়েছি। আর আপনার চিঠির দরকার নেই। আমরা আসছি, ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ চালু করে দেব।’‌
শনিবার কাটোয়ার সভা থেকে রাজ্য সরকারকে চালচোর, রেশনচোর, বালিচোর বলেও আক্রমণ করলেন নাড্ডা। নাড্ডা অভিযোগ, বাংলার কালচার এখন কাটমানির কালচার। বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‌বাংলায় এখন চাল চোর, বালি চোর, রেশন চোরে ভরে গিয়েছে। করোনার সময়ে গরীব মানুষের জন্য খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছিল তা পাওয়া গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের ঘরে। তৃণমূল কংগ্রেস মানেই এখন চালচোর, রেশন চোর, ত্রিপল চোর।’‌
কৃষকদের কাছে থেকে চাল ও সবজি সংগ্রহ করা হচ্ছে এখন। এছাড়াও আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই কর্মসূচি চলবে। কাটোয়ার সভা থেকে ফের রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‌গোটা দেশে ফসলের বিষয়ে বাংলার স্থান ২৪ নম্বর। এরকম এক অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রাজ্যের লাখ লাখ কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করেছেন।