বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জিতে হ্যাট্রিক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মে’র পর রাজ্যে মা–মাটি–মানুষের সরকার গড়ার ব্যাপারে এখনও পাল্লা ভারী তৃণমূল কংগ্রেসেরই। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে এবিপি নিউজ–সিএনএক্স। এমনকী মাসখানেক আগে প্রথম দফার যে সমীক্ষা হয়েছিল, তার থেকে এবার আসন বেশ কিছুটা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে ঘাসফুলের। দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও বিজেপির প্রভাব কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যা এই মুহূর্তে অক্সিজেন জোগাবে শাসকদল তৃণমূলকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪ আসন। বিজেপি জিততে পারে ১০২ থেকে ১১২। বাম–কংগ্রেস পেতে পারে ২২ থেকে ৩০ এবং অন্যেরা পেতে পারে ১ থেকে ৩ আসন। এই ধরনের সমীক্ষার ফল অনেক সময়ই মেলে না। তবে ভবিষ্যৎ বোঝার ক্ষেত্রে এই ধরনের জনমত সমীক্ষা একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। সিএনএক্স প্রথম সমীক্ষাটি করেছিল মাসখানেক আগে। সেখানে আসন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬–১৫৬। বিজেপি পেতে ১১৩–১২১। বাম–কংগ্রেস ২০–২৮ এবং অন্যেরা ১–৩।
একক গরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ১৪৮ আসন পেতে হবে। সেদিক থেকে সিএনএক্স–এর প্রথম সমীক্ষায় তৃণমূলের ন্যূনতম আসন–সম্ভাবনা ১৪৮ স্পর্শ করেনি। এবার তাদের দ্বিতীয় সমীক্ষায় সেই সম্ভাবনা কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে কমপক্ষে ১৫৪ আসনে পৌঁছেছে। সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার সংখ্যা ১৫৬ থেকে ১৬৪ আসনে পৌঁছতে পারে বলছে সমীক্ষা। প্রথম সমীক্ষায় বিজেপির ন্যূনতম আসন ধরা ছিল ১১৩, এবার তা কমে ১০২। একই ভাবে সর্বোচ্চ আসন প্রাপ্তির সম্ভাবনাও ১২১ থেকে কমে হয়েছে ১১২। বাম–কংগ্রেসের অবস্থান দুই সমীক্ষাতেই মোটামুটি এক। গত সমীক্ষায় ছিল ২০–২৮। এবার ২২–৩০।