রাজ্য

‘‌ভোট দিতে এলে হাত কেটে নেবো’‌

হুমকিটা শুরু হয়েছিল এভাবেই—‘‌এখানে সিপিএমের কোনও ভোট নেই। ভোট দিতে এলে হাত কেটে নেবো।’‌ এমনই হুমকির মুখে পড়লেন নানুরের সিপিএম বিধায়ক তথা প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। কাস্তে হাতুড়িতে ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়া হবে–এই হুমকি দিয়েছেন নানুর পঞ্চায়েতের আগাত্তর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জুলি বিবির স্বামী নূরমান শেখ। এই অভিযোগ উঠল এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
এই হুমকি–বাধা প্রতিহত করে সেই গ্রামেই বাড়ি বাড়ি প্রচার সেরেছেন শ্যামলী প্রধান, নানুরের বিদায়ী সিপিএম বিধায়ক। চোখে চোখ রেখে হুমকির জবাব দেওয়ার রণকৌশলে উজ্জীবিত তাঁর দলের কর্মী সমর্থকরা। এখন ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার ভিডিও। বুধবার নানুরের আগরতোড় গ্রামে প্রচারে যান সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। সেখানেই স্থানীয় নেতা নূরমানের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় সিপিএম প্রার্থীর। তিনি শ্যামলীকে প্রশ্ন করেন, গত ৫ বছরে বিধায়ক ছিলেন, কাজ কই?‌ তর্কাতর্কির মধ্যে শ্যামলীকে বলতে শোনা যায়, পঞ্চায়েত বলেছে সিপিএমের টাকার কাজ করব না। এখন তোমাকে যদি ওই টাকা দিই তাহলে কাজ করতে পারবে? পাল্টা তৃণমূল নেতার দাবি, কাজ যখন করতে পারবেন না তখন এলাকায় এসে উস্কানি দেওয়ার কী প্রয়োজন? এখানে সিপিএমের ভোট নেই। হাত কেটে দেব।
যে রাস্তা দিয়ে তিনি প্রচার সারছেন, তা তৃণমূলের করা বলে তাঁকে বলা হয়। শ্যামলী পাল্টা বলেন, ‘‌পঞ্চায়েতে তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি। এমনকী বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচেও বাধা দেওয়া হয়েছে।’‌ সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খোদ প্রার্থীকে হুমকি ও সিপিএমে ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়ার কথা বলাকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে দল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানানো হয়েছে। আজ এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ দায়ের করা হবে নির্বাচন কমিশনেও।