আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতিতে জড়ানো দলের নেতাকে বহিষ্কারের পথে হাঁটল তৃণমূল। আগে হুগলি জেলার নেতাকেও বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থান নিল তৃণমূল। দল থেকে বহিষ্কার করা হল মথুরাপুর ২ নং ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার ঘাটিকে। ফলে প্রকাশ্যে চলে এলো শাসকদলের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি।
তাঁকে বিডিও এবং পুলিশের সামনে কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। তিনি বিডিও’র সামনে দোষ কবুলও করেছেন। এরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকাভুক্ত না করে নিজের কাছের মানুষদের নাম ঢুকিয়েছেন তিনি। পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিকট আত্মীয়দের নাম পাঠিয়েছেন। এই অভিযোগে কৈলাসপুর–হরিণডাঙাগামী রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, এখন মানুষের জন্যে কাজ করার সময়। ত্রাণ নিয়ে কোনও অনিয়ম, দুর্নীতির যেন অভিযোগ না ওঠে। আর তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তারপরও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলই। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রীর হাঁকডাকই সার তা বুঝতে অসুবিধা হল না কারও। আমফানের ত্রাণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছিল হুগলির গড়লগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। অভিযোগ পৌঁছেছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও। গড়লগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিং–কে (মনোজ) পার্টি থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।