সাংসদ তথা জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র আগেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতির পদ থেকে তাঁকে দল সরিয়ে দিয়েছিল। এবার নদিয়ার রানাঘাট পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে নিজেই ইস্তফা দিলেন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। বেলা তিনটে নাগাদ রানাঘাট পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার বিপুল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। যা নিয়ে বিস্ত জলঘোলা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, পার্থবাবু কী তাহলে এবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন?
যদিও পদত্যাগ করার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার একটা আত্মসম্মানবোধ আছে। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সহ–সভাপতির পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল। অথচ তার আগে শোকজও করা হল না। টেলিফোনে যোগাযোগও করা হয়নি। কেবলমাত্র আমার বাড়িতে একটা চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে আমার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছে। আমি মনে করেছি, আমাকে আত্মসম্মানে আঘাত দেওয়াটা প্রথম ধাপ। তাই আর পরবর্তী সুযোগ দিতে চাই না। সম্মান থাকতে থাকতে স্বেচ্ছায় এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
নাম না করে বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা হাউসের মধ্যে একজনকে যখন অযোগ্য বলা হয়েছিল, তিনি কিন্তু সম্মানে আঘাত পেয়েও পদত্যাগ করেননি। কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।’ দিনকয়েক ধরে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান করার জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। তারই মাঝে এই সিদ্ধান্ত জল্পনার রং যে আরও গাঢ় করল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।