ব্রিগেড সমাবেশের ঠিক আগে ভাঙড় থেকে কলকাতায় যাওয়ার পথে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী, সমর্থকদের গাড়ি আটকানো নিয়ে বচসায় জড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস–আইএসএফ। তার জেরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে এড়েন্ডা রাস্তার মোড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধার করে নলবড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও সংঘর্ষ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। থানায় কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।
অভিযোগ, ব্রিগেডমুখী আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থক। ব্রিগেড যাওয়ার পথে আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীরা আচমকাই তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। এই ঘটনায় মোট ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, মেরে চারজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির সমর্থকরা। আব্বাসের দলের গাড়ি আটকে দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। বাধা পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে আইএসএফ সমর্থকরা তাঁদের মারধর করেন বলে পালটা অভিযোগ তৃণমূলের। এই নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর আইএসএফের অন্যরা ফের ব্রিগেডের পথে এগিয়ে যান।
পরে সঙ্কটজনক তিনজনকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এবার রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে জোট বেঁধেছে বাম–কংগ্রেস–ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। একই মঞ্চ ভাগ করে নেবেন তিন দলের নেতৃত্ব। বলা হচ্ছে, জনসমাগমে আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে রবিবারের সমাবেশ। তিন দলের প্রায় ১০ লক্ষ কর্মী, সমর্থকের জমায়েত হবে।