বাগদায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল আবার প্রকাশ্যে। একুশে জুলাই প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হলেন না পঞ্চায়েত সমিতির, সভাপতি সহ-সভাপতি সহ একাধিক নেতৃত্ব।
উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরে গোষ্ঠী কোন্দল আরো প্রকট হয়েছে।
সূত্রের খবর, বাগদা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ শে জুলাইয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল হেলেঞ্চা নেতাজী শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে। বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদারের ডাকে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু এই সভাতে দেখা গেল না বিশ্বজিৎ দাসের অনুগামী বলে পরিচিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ, হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল ঘোষ, প্রতিমা রায় সহ অনেক নেতৃত্বকে। ফলে বাগদাতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল।
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, “বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের শরীর খারাপের কারণে হয়ত আসেনি। কে আসল না সেটা বিষয় নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ শে জুলাই আমাদের যেতে হবে।”
আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ জানিয়েছেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলের কেউ কেউ ব্যক্তিগত হিংসার কারণে আমন্ত্রণ জানায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমি হোয়াটসঅ্যাপে দেখিনি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল ঘোষ জানান ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নেই।
এই বিষয়টি নিয়ে টিপ্পনী করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল বলেন, গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের সভায়।