একেই বোধহয় বলে সেমসাইড গোল। আর তাও হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের। কারণ ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদকের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এরপরই গোষ্ঠী কোন্দলে সরগরম জেলা তৃণমূল।
এদিকে ভিডিও–কে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। এখন তাঁদের নিশানায় রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা জয়ন্ত মিত্র। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় তৃণমূলের অন্দরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ ওই ভিডিও–তে নাকি দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল। কিছুদিন আগেই দলের কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে জয়ন্ত মিত্রকে। এখন তিনি সাধারণ সম্পাদক। আর তাঁর বিরুদ্ধেই ভিডিও বাজারে ছাড়া হয়েছে। এটা দলের বিধায়কের কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বিধায়কের বিরুদ্ধেও গুচ্ছের অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।
তবে তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দলে বেজায় খুশি বিজেপি শিবির। তৃণমূলের দ্বন্দ্বকেই অস্ত্র করছেন তাঁরা। এর আগেও বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান জয়ন্ত মিত্র। দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরে ভুল স্বীকার করে নেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দল কি পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।