রাজ্য

নির্বাচন কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

করোনা আবহে একসঙ্গে করা হোক শেষ দু’দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ফের আর্জি জানিয়েই এবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল। নির্বাচনী প্রচারে লাগাম টানতে হাইকোর্টে করা জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মঙ্গলবার কড়া মনোভাব দেখালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। বেনজির এই পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সামনে।
চতুর্থ দফার ভোটের পরই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করার আরজি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে হয়ে গেলে আর প্রচারের কোনও ব্যাপার থাকবে না। ফলে সাধারণ মানুষের জমায়েত এড়ানো যাবে। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাকি ভোট আরও চার দফাতেই হবে। কিন্তু সংক্রমণের চোখ রাঙানির মধ্যে ফের একই আর্জি শোনা গেল তৃণমূলের তরফে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে একটি দাবিপত্র পেশ করেন চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে তৃণমূল দাবি রাখে, সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন জুড়ে যাতে একদিনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা করুক কমিশন। ২২ এপ্রিলই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। এত কম সময়ে এই পর্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়। সে কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল চাইছে, অন্তত ২৬ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিলের ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করার কথা যাতে বিবেচনা করে কমিশন।
নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানতে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিন তারই প্রেক্ষিতে নয়া নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণ। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত বিধি মেনেই যাতে প্রচার ও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তার দায়িত্ব কমিশনকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে গোটা প্রক্রিয়া বলবৎ করতে হবে।