ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে এবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে এর আগেও সংগঠন বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছিল শাসকদল। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে এবার বেশ আটঘাট বেঁধে নামছে তৃণমূল। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক কয়েকদিন ধরেই বাংলাভাষী ওই রাজ্যে সমীক্ষা চালাচ্ছিল। কিন্তু অভিযোগ, বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার আইপ্যাক সংস্থার কর্মীদের হোটেলবন্দি করে দিয়েছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারের এমন কাজের বিরুদ্ধে সরব হতে বুধবার ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেখানে পৌঁছালেন রাজ্যসভায় তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যাচ্ছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন। তাঁর আজ যাওয়ার কথা থাকলেও, কর্মসূচি সামান্য বদলে তিনি দিল্লি থেকে বিমানে আগরতলা পৌঁছাবেন শুক্রবার দুপুরে।
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলাভাষী ত্রিপুরায় এমনিতেই জনপ্রিয়তা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই সেখানে ধীরে ধীরে সংগঠন তৈরি করতে উঠে পড়ে লাগল জোড়াফুল শিবির। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে দিয়ে সমীক্ষার কাজও শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু অভিযোগ, আগরতলায় ওই সংস্থার কয়েকজন কর্মীকে আটক করে রাখে ত্রিপুরা সরকার। যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক বলেই দাবি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে এটাকে সামনে রেখেই ধাপে ধাপে সুর ছড়াচ্ছে জোড়াফুল শিবির। প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রীদের পাঠানো হয়, এরপর দুই সাংসদ এবং সব শেষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পৌঁছাবেন। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রয়োজনে ধারণায় বসতে পারেন বলেই জানা যাচ্ছে।