দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার বড়জোড়ার তাজপুর। এই সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল–বিজেপি। জখম হয়েছেন দু’পক্ষের মোট ১০ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুতরাং তাদের ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। আবার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর সরকারি জায়গা থাকা রাজনৈতিক দলের ব্যানার, পতাকা খোলা নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল। আর এতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এবার প্রশাসনের সেই কাজে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলল শাসকদল তৃণমূল।
এই দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে তপ্ত হয়ে ওঠে বড়জোড়ার তাজপুর। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূল অনেকদিন আগেই এলাকার বেশ কিছু দেওয়াল দখল করে রেখেছিল। গতকাল রাতে বিজেপির কর্মীরা সেই দেওয়ালে তাঁদের প্রতীক আঁকে। প্রতিবাদ করতে শুরু করে তৃণমূল নেতারা। এরপর বিজেপির দখল করা দেওয়ালে তৃণমূলের প্রতীক আঁকে ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। তখনই শুরু হয় বচসা। আর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায় ঘাটাল চন্দ্রকোনা রাজ্যসড়ক, রেগুলেটেড মার্কেট–সহ একাধিক সরকারি জায়গায় এখনও লাগানো রয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ব্যানার, হোর্ডিং। তৃণমূলের পতাকা ব্যানার খুলে নেওয়া হলেও, সেগুলি খোলার কোনও উদ্যোগ নেয়নি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ব্লক প্রশাসন।
লাঠি, বাঁশ দিয়ে চলে আক্রমণ। গুরুতর জখম হন ১০ জন। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বড়জোড়া হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘গতকাল সকালে শুভেন্দুর পোস্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিজেপির মধ্যে অশান্তি তৈরি হয়েছিল। রাতে ওরা তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলা করে।’ অন্যদিকে এই বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য, ভোট ঘোষণার পর তাঁরা নিজে থেকেই খুলে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সদ্য ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সব ব্যানার খোলা সম্ভব হয়নি। বাকি যেগুলি রয়ে গেছে সেগুলিও সরিয়ে নেওয়া হবে।
