জেলা

তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র উত্তরপাড়া

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যজুড়ে হিংসা বাড়তে শুরু করেছে। এবার বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার উত্তরপাড়া এলাকা। কিছুদিন আগেই এই এলাকার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ‘অশ্লীল’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তখন ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা প্রতিবাদ করতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তরপাড়া। দু’দলের কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলেও খবর। বিজেপির দাবি, দলের সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে আমাদের উপর চড়াও হয়েছিল তৃণমূল দুষ্কৃতীরা।
মঙ্গলবার উত্তরপাড়ায় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা কর্মসূচি ছিল। সেই উপলক্ষ্যে এলাকায় মাইক বেঁধেছিল তাঁরা। তৃণমূলের অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই মাইকে তৃণমূলের দলনেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। অশ্লীল গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। মহিলা তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মাইক খুলে ফেলার আবেদন জানান ঘাসফুল কর্মীরা।
বিজেপির তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের পালটা দাবি, পরিবর্তন যাত্রা থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূলের সমালোচনা করা হচ্ছিল। কিন্ত তা সহ্য করতে পারেনি তৃণমূল কর্মীরা। তাই বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দু’দলের মধ্যে কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তখন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় দু’দলের কর্মীদের। যদিও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
হুগলি জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসিত গালিগালাজ করছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে সাধারণ মানুষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির উত্তরপাড়ার মণ্ডলের সভাপতি সরস্বতী চৌধুরী। তাঁর কথায়, আমরা তৃণমূলের সমালোচনা করছিলাম। সেটা ওরা নিতে পারেনি।