তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর। রবিবার সকালেই দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এই ঘটনায় আহত হয় দু’পক্ষের ১০জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’পক্ষের পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যেই তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি, তাঁদের কর্মীর জমিতে থাকা সেচের পাইপ ফাটিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। আহত তৃণমূল কর্মী শেখ লোকিরুদ্দিনের অভিযোগ, শনিবার দুপুরে তাঁর জমিতে থাকা সেচের জল দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত পাইপ ফাটিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় লাঠি রড দিয়ে। এমনকী তাঁকে বাঁচাতে অন্যরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
যদিও তৃণমূলের দাবিকে সর্বৈব মিথ্যে বলেছে বিজেপি। আহত বিজেপি কর্মী ইসরাইল মির্জার অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তাঁদের মারধর করে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। মূলত এলাকায় বিজেপি করার জন্যই তাঁদের মারধর করা হয়েছে। অপর আহত বিজেপি কর্মী শেখ শফিকুল ইসলাম তৃণমূল পরিচালিত ক্লাবের ভেতর লাঠি–রড–বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলেছেন। দু’পক্ষের তরফেই ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কেশপুর থানায়। ঘটনার পর গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।