কৃষক আন্দোলন চলাকালীন টেলিফোনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই পরিস্থিতিতে এদিন আকালি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে তৃণমূল ভবনে কৃষি আইন ও আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে বসল দুই দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অকালি দলের তিনজন সাংসদ। আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এই আন্দোলনকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, আজ ১০ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। দেশের সমস্ত রাজ্যের কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দিল্লি–হরিয়ানা সীমান্তে টিকরি অঞ্চলে এখনও অবস্থান করছেন কৃষকরা। চিল্লা সীমান্তেও কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।
সূত্রের খবর, যেভাবে কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেভাবেই এই কৃষক আন্দোলনকে গোটা দেশে ছড়িয়ে ২০২১ সালের ফসল ঘরে তুলতে চায় তৃণমূল। তাই এই বৈঠক করা হয়েছে।
আজ শনিবার ফের কেন্দ্র–কৃষকের পঞ্চম দফার বৈঠক রয়েছে। তার আগে জরুরি বৈঠকে বসেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর নিজের বাড়িতেই হচ্ছে বৈঠক। বৈঠকে হাজির রয়েছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমর। কৃষকদের দাবি মেনে আইনে কী কী সংশোধন আনা যায়, তাই নিয়েই বৈঠকে জরুরি আলোচনা চলছে বলে খবর।
