জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর দাবিই সার!‌ বেতন পাচ্ছেন না পুরকর্মীরা

বারবার সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও আমি রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের মাসের ১ তারিখে বেতন দিই। অথচ বাস্তব চিত্র দেখা গেল, বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে শুরু করলেন টিটাগড় পুরসভার শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। টিটাগড় পুরসভার ভেতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরে পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হন তাঁরা। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠে গেল।
আন্দোলনরত কর্মীদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় থেকে এই পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একাধিকবার পুরসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও বেতন সমস্যার সমাধান করা হয়নি। শুধু যে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বকেয়া আছে তাই নয়, স্থায়ী কর্মীরাও গত দু’‌মাস বেতন পাননি বলে অভিযোগ!‌ আন্দোলনকারী স্থায়ী সাফাই কর্মীদের অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যে সবারই আর্থিক অবস্থা খারাপ, কে কাকে সাহায্য করবে? আমাদের স্থায়ী কর্মীদের দু’‌মাস বেতন দেয়নি, অস্থায়ী কর্মীদের চার মাস বেতন হয়নি। শুনতে অবাক লাগলেও এটা অতি বাস্তব। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
এখানেই শেষ নয়। পেনশনাররা তিন মাস পেনশন পাননি। বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। বেতন চাইলেই পুরপ্রধান সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ডেকে আনছেন বলে অভিযোগ। টিটাগড় পুরসভার পৌরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী জানান, যে আন্দোলন কর্মীরা করছেন তার কোন মানে নেই। তাদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামানো হয়েছে। ওরা দাবি করেছে যাতে ওদের বেতন রাখীর আগে দেওয়া যায়। আমরা সেই চেষ্টাতেই আছি। আসলে লকডাউনের কারণে পুরসভায় ঠিক মত ট্যাক্স জমা পড়েনি। ফলে কর্মীদের বেতন বকেয়া পড়েছে।