খাস কলকাতায় এবার ঘটল টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা। প্রথমে ইচ্ছাকৃতভাবে ট্যাক্সি দিয়ে মোটরবাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর আহত ওই যুবককে ট্যাক্সিতে তুলে বন্দুক দেখিয়ে টাকা ছিনতাই। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা এলাকায়। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকায় দু’জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। বোনের বিয়ের জন্য ৩ লক্ষ টাকা রাখা ছিল। মুক্তিপণ হিসেবে সেটা দেওয়ার পরই দুষ্কৃতীরা মহম্মদ নাদিমকে ছেড়ে দেয়। তিলজলা অপহরণ কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, মহম্মদ নাদিম তিলজলার বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর মোটরবাইকের পথ আটকায় একটি ট্যাক্সি। ধাক্কা মেরে চলন্ত মোটরবাইক থেকে নাদিমকে ফেলে দেয়। এরপরই ট্যাক্সি থেকে নেমে আসে তিনজন। জোর করে তারা মহম্মদ নাদিমকে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়। তারপর চলন্ত ট্যাক্সির মধ্যেই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তিন লক্ষ টাকা চায়। শেষপর্যন্ত নাদিম ভাইকে ফোন করে টাকার ব্যবস্থা করেন। ২৯ বছরের মহম্মদ নাদিম পেশায় ওয়েব ডিজাইনার।
নাদিম অভিযোগ করেন, গাড়ির মধ্যে তাঁর উপর অত্যাচার করে ওই দুষ্কৃতীরা। বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর কাছে থাকা ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আর নাদিমকে হুমকি দেয়, বাড়ি থেকে আরও টাকা না নিয়ে এলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে তাঁকে। এখন বোনের বিয়ের জন্য বাড়িতে ৩ লাখ টাকা রাখা ছিল। সেই পুরো টাকাটা দেওয়ার পরই নাদিমকে ছাড়ে ওই দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, টাকা লুঠ করার পরই কসবার অ্যাক্রোপলিস মলের কাছে তাঁকে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এরপরই ট্যাক্সি ছুটিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ নাদিম। এরপরই ঘটনায় তদন্তে নামে প্রগতি ময়দান থানা। খতিয়ে দেখা হয়, ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ওই ট্যাক্সির চালক ও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সোহেল আলি ওরফে আমন ও শেখ আনসার আলি ওরফে নিয়াজ নামে ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
