রাষ্ট্রপুঞ্জে সুর চড়িয়ে বলা হয়েছিল জম্মু–কাশ্মীরে তৃণমূলস্তরে পৌঁছেছে গণতন্ত্র। আর মহালয়ার সকালে উপত্যকাবাসীর ঘুম ভাঙল তীব্র গুলির শব্দে। কারণ জম্মু–কাশ্মীরের বাটামালু এলাকায় এনকাউন্টারে নিকেশ হল তিন জঙ্গির। প্রাণ গিয়েছে এক সাধারণ মহিলারও। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু হয় তীব্র গুলি বিনিময়। গুরুতর জখম হয়েছেন এক অফিসার–সহ দু’জন সিআরপিএফ কর্মীও।
জানা গিয়েছে, বাটামালু এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সেনাবাহিনী দেখেই এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই হয়। ঘটনাস্থলেই নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। সাতসকালে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙা কী তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র পৌঁছনোর প্রমাণ? উঠছে প্রশ্ন।
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাত ২টো ৩০ মিনিটে বাটামালুর ফিরদৌসাবাদ এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। জওয়ানদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালালে, পালটা গুলি চালায় সেনাবাহিনীও। তখনই শুরু হয় তীব্র গুলিবিনিময়। তিন জঙ্গি তাতে নিকেশ হলেও গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মারা যান ৪৫ বছরের এক মহিলা। নাম কৌসর রিয়াজ। পাশাপাশি, এক ডেপুটি কমান্ডান্ট পদমর্যাদার অফিসার–সহ ২ সিআরপিএফ জওয়ান গুরুতর আহত হন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতেই জম্মু–কাশ্মীরের বারামুলায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে নিরাপত্তাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। ধৃতরা লস্কর–ই–তৈবার সঙ্গে যুক্ত বলে কাশ্মীর পুলিশের দাবি। কাশ্মীর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বুধবার তাদের কাছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের খবর মেলে। সেই সূত্র ধরে ভারতীয় সেনা, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী, সিআরপিএফ এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথ টিম সজাগ হয়। বারামুলার বিভিন্ন চেক পয়েন্টে শুরু হয় তল্লাশি।
