দেশ ব্রেকিং নিউজ

শিক্ষানীতির বিরোধিতা করল শরিক

জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতই বাগড়ম্বর করুন না কেন, বিরোধিতা শুরু হয়েছে তাঁর শরিকের ঘর থেকেই। ফলে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন তিনি। তার উপর এখন পাশে সেনাপতি অমিতও নেই। করোনায় তাঁর স্থান হয়েছে এইমসে। সুতরাং শলা–পরামর্শ করা যাবে না। আর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে বারবারই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তামিলনাড়ু। এবার প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষা নীতিতে যে তিন ভাষা সূত্রের কথা বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ শুরু করল দক্ষিণের এই রাজ্যে।
ইতিমধ্যেই সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এড়াপাড্ডি পালানিস্বামী। তাঁর দল এআইএডিএমকে এখন কেন্দ্রে বিজেপি’‌র গুরুত্বপূর্ণ শরিকও বটে। কিন্তু তামিল জনতার মন পেতে হলে আঞ্চলিক ভাষাকে ত্যাগ করলে চলবে না। তাই জনতার রায় নিশ্চিত করতে জোট শরিকের বিরোধিতা করতেই হতো। তাই করলেন মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী। তাই তিনি বলেন, ‘‌জাতীয় শিক্ষা নীতিতে তিন ভাষার সূত্রটা খুব বেদনাদায়ক আর দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, এটা নিয়ে আরও একবার ভাবুন। রাজ্যগুলিতে এই নীতি ঠিক করার সুযোগ করে দিন।’‌
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে হিন্দির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল তামিলনাড়ু। তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের ‘হিন্দি আগ্রাসন’–এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতেই ছিল তামিলনাড়ু। পালানিস্বামীর মন্তব্যে বিরোধীরা অক্সিজেন পেয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই নীতি অনুযায়ী কোন কোন তিনটে ভাষা বাছাই করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যের, তামিলনাড়ুর রাজনীতিকরা মনে করেন এটা হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রেরই একটা কৌশল।