৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে সপ্তমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও উঠে এল কোভিড–১৯ প্রসঙ্গ। তিনি ভারতের তিনটি করোনা ভ্যাকসিনের কথা উল্লেখ করলেন। এদিন জাঁকজমক ছিল না। তবে তাঁর বক্তৃতায় প্রতিবারের মতোই ছিল বেশ চমক। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে তিনটি করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত মিললেই ওই ভ্যাকসিনের বিশালাকার উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।’
সরকার প্রতি ঘরে সেই সব প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে একেবারে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বিজ্ঞানীরা অনুমতি দিলেই উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর তারপর কত কম সময়ে প্রত্যেক নাগরিকের ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায় তার রোডম্যাপ প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ভারতবাসীকে টিকাকরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কতটা কম সময়ের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব তার চেষ্টাই চলছে।’
এদিন লালকেল্লা থেকে ভাষণে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথমসারি যোদ্ধাদের একাধিকবার প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। করোনার যোদ্ধাদের অক্লান্ত অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ শিশুরা। এবার কোভিড–১৯ মহামারির কারণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই লালকেল্লায় আজ আমি নিজের সামনে শিশুদের দেখতে পাচ্ছি না। করোনা সবাইকেই থামিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা যোদ্ধারা ‘সেবা পরম ধর্ম’ মন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশের মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় উল্লেখযোগ্য ঘোষণা ছিল হেল্থ আইডি কার্ড। ন্যাশলান ডিজিটাল হেল্থ মিশনের আওতায় এই আইডি প্রত্যেক নাগরিকের জন্য তৈরি হবে। যাঁর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির চিকিৎসার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য মজুত থাকবে। কৃষি, মহাকাশ গবেষণা থেকে করোনা মোকাবিলায় পিপিই, কিট, ভেন্টিলেটর উৎপাদন— প্রতিটি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের ছবিটি তুলে ধরলেন মোদী। আর দেশের মাটিতে উৎপাদনের ফলে গত এক বছরে রেকর্ড হারে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।