প্রবল চাপে পড়ে রাজ্যে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। একই দিনে ভোট হবে সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। ৩ অক্টোবর ভোট গণনা। ওই দিনই ভোট হবে ওডিশার পিপলি কেন্দ্রেও। হিসেব মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নভেম্বরের মধ্যেই যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে হবে। তাই বারবার সেপ্টেম্বরেই ভোট করার দাবি জানিয়ে আসছিল তৃণমূল। অবশেষে সেপ্টেম্বরের শেষেই ভোট হবে বলে জানাল কমিশন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন হওয়ায় একাধিক নিয়ম বলবৎ করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর। স্ক্রুটিনর দিন ১৪ সেপ্টেম্বর। কোনও প্রার্থী চাইলে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন তুলে নিতে পারেন। ৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। ভবানীপুরের পাশাপাশি সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও ভোট হবে ওই দিন। তবে বাকি কেন্দ্রগুলির উপ নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এই তিন কেন্দ্রে গণনা হবে ৩ অক্টোবর।
তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কোনও মিছিল করা যাবে না। রিটার্নিং অফিসারের অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে ৩টি গাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে উপনির্বাচন বাকি থাকলেও, করোনা পরিস্থিতিতে ওই সব জায়গায় নির্বাচনের দিন স্থির হয়নি এখনও। তবে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেই আগে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ধার্য করা হল। এই কেন্দ্র থেকেই লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে জয়ী হতে হবে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।
ইন্ডোর প্রচারের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ লোক এবং আউটডোর প্রচারের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে প্রচার করা যাবে। তাই দ্রুত নির্বাচন করার জন্য বারবার আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল। এ দিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ও রাজ্যের অনুরোধ মেনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন ঘোষণা করা হল।’ অর্থাৎ রাজ্যের দাবিতেই শিলমোহর দিল কমিশন।