ইটভাটায় খেলতে গিয়ে জমা জলে ডুবে মৃত্যু হল একই পরিবারের দুই নাবালক ও এক নাবালিকার। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার নন্দনপুর এলাকায়। তিন শিশুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তিন শিশু একই পরিবারের। নাম সাদিকুল সেখ(৮), আশা খাতুন(৮) ও রশিদ সেখ(৬)। পরিবারের দাবি, ওই ইটভাটার কাছে রোজই পাড়ার শিশুরা খেলতে যেত। আজই এমন ঘটনা ঘটে গেল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে ঝড়–বৃষ্টির পর দুই ভাই সাদিকুল ও রশিদ খুড়তুতো বোন আয়েশাকে সঙ্গে নিয়ে কাছের ইটভাটার খেলতে যায়। সন্ধ্যে গড়িয়ে অন্ধকার নেমে আসলে বাড়ির লোকজন বাচ্চাদের খোঁজ শুরু করেন। এক ব্যক্তির নজরে আসে, ইটভাটাতে ইট তৈরি করার জন্য মাটি কেটে যে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে, সেই খাদে দু’টি শিশু ভাসছে। সন্দেহ হওয়ায় তখনই ছুটে গিয়ে বাকিদের খবর দেন তিনি। স্থানীয়রা এসে দুই শিশুকে প্রথমে উদ্ধার করে। তারপর তল্লাশি চালিয়ে জলের তলা থেকে বের করা হয় আয়েশার নিথর দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রানিতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নসিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ইটভাটার মালিক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে তিন শিশুর এমন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর বর্তমানে থমথমে গোটা এলাকা। রানিতলার কোনও অভিভাবকই সন্তানকে চোখের আড়াল করতে চাইছেন না।
