জেলা

গোলি মারো স্লোগানে গ্রেপ্তার তিন

শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়। চন্দননগরের স্লোগান কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু ধরপাকড়। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ–সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সরব হলেন জেলার বিজেপি নেতৃত্ব, জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে তিনি জানান, যা হয়েছে পুরোটাই অন্যায়।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি’‌র একটি সমাবেশ থেকে সিএএ বিরোধীদের দিকে এইভাবেই আক্রমণ শানানো হয়েছিল। দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। বিভিন্ন মহল থেকে এই স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় একের পর এক রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘গোলি মারো’ স্লোগান ওঠায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তি মিছিলেও ‘বাংলার গদ্দারোকো গোলি মারো শালেকো’ স্লোগান শোনা যায়। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর স্লোগান ইস্যুতে সরগরম হুগলির চন্দননগর।
এই বিষয়ে বিজেপি’‌র দাবি, তিনদিন আগেও শাসকদলের সমাবেশ থেকে একই স্লোগান উঠেছিল। কিন্তু তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। সেখানে তাদের দলের কর্মীদের রাতের অন্ধকারে রীতিমতো জোর করে ঘর থেকে তুলে আনা হয়েছে। তারা এটার তীব্র নিন্দা করছেন এবং যা যা পদক্ষেপ করার দলের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার চন্দননগরে রোড–শো ছিল বিজেপি’‌র। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্ত অংশ নেন তাতে। লরিতে চড়ে দিব্যি ফুল ছুঁড়ে, হাত নাড়িয়ে রোড–শো চলছিল। আচমকাই বেশ কয়েকজন ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেন। তাতেই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। বিড়ম্বনায় পড়েন বিজেপি নেতারা। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌এই ধরনের শব্দবন্ধনীকে সমর্থন করে না বিজেপি। যে বা যারা মিছিলে এই ধরনের কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’‌