হিমাচল প্রদেশের খামেঙ্গায় পর্বতারোহনে গিয়ে আটকে পড়লেন তিন বাঙালি৷ ইতিমধ্যেই দলে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ আটক পর্বতারোহীদের উদ্ধার করতে ৩২ জনের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন৷ আজ উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার কথা৷ মৃত দুই পর্বাতোরহীদের মধ্যে একজন বেলঘড়িয়ার সন্দীপ কুমার ঠাকুরতা৷ পাশাপাশি সন্দীপবাবুর সঙ্গী ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়েরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়ার রাইফেল রেঞ্জ রোডের বাসিন্দা সন্দীপ কুমার ঠাকুরতা তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিংয়ে যান৷ তারই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্দীপবাবুর মায়ের মৃত্যু হয়৷ যদিও সে খবর পৌঁছায়নি সন্দ্বীপের কাছে পৌঁছয়নি৷
এদিন সকালে হিমাচল প্রদেশ থেকে খবর আসে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য অক্সিজেন জনিত সমস্যায় সন্দীপ ও তাঁর সহকারী ব্যারাকপুর নোনা চন্দনপুকুরের বাসিন্দা ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে৷ এমনিতেই শোকার্ত পরিবারটিতে এই খবরে কার্যত বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ গোটা এলাকাতেও শোকের ছায়া৷
ব্যারাকপুর আনন্দপুরী মিডিল রোডের সানরাইজ আবাসনে থাকতেন ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়৷ গত ১১ তারিখ তিনিও সন্দীপবাবুদের সঙ্গে হিমাচলে রওনা দেন৷ মানালি হয় থেমেঙ্গার দিকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা৷ মাঝপথেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভাস্করবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর পরিবার জানতে পেরেছে। তাঁর পরিবার চাইছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাস্করবাবুর দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার৷
সন্দীপবাবুরা যে দলে ছিলেন, তার দুই সদস্য কোনওক্রমে বেঁচে নীচে নেমে এসে দুর্ঘটনার খবর জানান৷ হিমাচল প্রশাসনের উদ্যোগে যে দলটি গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬ জন আইটিবিপি জওয়ান, দশ জন প্রশিক্ষিত ডোগরা স্কাউট এবং দশ জন পোর্টার রয়েছেন৷ দুর্গম এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে উদ্ধারকারী দলটির তিন দিন সময় লাগবে৷ খারাপ আবহাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারেও উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না৷