উৎসব মরশুমের মধ্যেই জঙ্গি বামলার হুমকি। মুম্বই বন্দর ও দিল্লিতে জঙ্গি হামলার হুমকি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে ফোন এল পাকিস্তানের নম্বর থেকে। আর তা নিয়ে নয়াদিল্লি জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ফোনকে ভুয়ো কল বলে জানানো হয় এনআইএ’র পক্ষ থেকে। এবার উৎসব মরশুমে বিশেষ ক্ষতি করতে পারেনি জঙ্গিরা। তাই এই ফোনকে প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২০ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অ্যান্টি টেরর প্রুভ এজেন্সির কন্ট্রোল রুমে তিনটি ফোন আসে। তাতে বলা হয়, জৈশ–ই–মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার ও তার ভাই ২২ জন জঙ্গিকে নিয়ে একটি দল গঠন করেছে। তারা মুম্বই বন্দর ও দিল্লিতে হামলা চালাবে। এই ফোনগুলি আসার পরেই তদন্ত নেমেই এনআইএ’র তদন্তকারী জানতে পারেন ওই ফোনগুলি পাকিস্তান থেকে এসেছিল ঠিকই। তবে হামলা চালানোর হুমকিটা ভুয়ো।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানান, তদন্ত করে ওই ফোনকলগুলি ভুয়ো। তাই বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তবে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের জেরে মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেয় ভারত। তারপর থেকে ভারতে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই জঙ্গি প্রধান। চিনের আপত্তি সত্ত্বেও বহু চেষ্টার পর ভারতের চাপে কুখ্যাত এই জঙ্গিকে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। অন্যদিকে ২০২০ সালের আগস্ট পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার মামলায় জমা দেওয়া চার্জশিটে মাসুদ আজহারকেই দায়ী করা হয়েছে।
