রাজ্য লিড নিউজ

এবার ইডির নজরে শঙ্কর আঢ্যর আত্মীয়েরা

ইডির নজরে রয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর আত্মীয়েরাও। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,, শঙ্কর ছাড়াও তাঁর আট জন আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে, যেগুলি টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। শঙ্কর এবং তাঁর আত্মীয়দের সূত্রে ছ’টি সংস্থার নাম উঠে এসেছে।

ইডি জানিয়েছে, বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর নামে একটিমাত্র সংস্থা রয়েছে, যার নাম ‘এসআর আঢ্য ফিন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড’। তাঁর স্ত্রীর নামও রয়েছে ওই সংস্থায়। এছাড়া শঙ্করের স্ত্রী জ্যোত্‍স্নার নামে রয়েছে ‘অর্পণ ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে আরও এক সংস্থা। শঙ্করের মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্যর নাম রয়েছে ‘অর্পণ ফরেক্স’-এ। শঙ্করের পুত্র শুভ আঢ্যের নামে সংস্থাটির নাম ‘শঙ্কর ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’।

শঙ্করের ভাই মলয় আঢ্যের নামে ফরেক্স সংস্থা ছাড়াও রয়েছে একটি আইসক্রিম কারখানা। যার নাম ‘অঞ্জলি আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড’। ওই সংস্থায় নাম রয়েছে মলয়ের স্ত্রী তানিয়া আঢ্যেরও। ইডি যখন বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, আধিকারিকেরা মলয়ের এই আইসক্রিম কারখানাতেও তল্লাশি চালান। মলয়ের নামে যে ফরেক্স সংস্থাটি রয়েছে, তার নাম ‘আঢ্য ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’। সেখানে শঙ্করের মা শিবানী আঢ্যও রয়েছেন।

শঙ্করের শ্যালক অমিত ঘোষ। তিনি যুক্ত আছেন ‘শঙ্কর ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর সঙ্গে। এছাড়া, মলয়ের স্ত্রী তানিয়ার নামে ‘ত্রিনয়নী ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে আরও একটি সংস্থার কথা জানা গিয়েছে। ইডির দাবি, রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকা ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে শঙ্করের এই সমস্ত সংস্থায় আসত, সেখান থেকে বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে ওই টাকা দুবাইতে পাঠানো হত।