ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

এবার রবিনসন কাণ্ডের ছায়া হাওড়ায়, দু’দিন ধরে মৃত মায়ের দেহ আগলে বসে মেয়ে

রবিনসন কাণ্ডের ছায়া হাওড়া রামরাজতলা এলাকায়। দুদিন ধরে মৃত মায়ের দেহ আগলে বসে রইল মেয়ে। কিন্তু সে দেহ সৎকার করতে চায় না। মৃত দেহ সমাধি করে রাখার আবদার তার।

ফের হাওড়াতে ফিরে এলো কলকাতার রবিনসন কাণ্ডের ছায়া। সূত্রের খবর, রবিবার থেকে মৃত মায়ের দেহ আগলে বসে মেয়ে। মায়ের দেহ সমাধি করে রাখার আবদার মেয়ের। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে জগাছা থানার অন্তর্গত রামরাজাতলার নন্দীপাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, মায়ের মৃত্যুর খবর নিজের দাদাকেও না জানিয়ে এভাবেই দেহ বাড়িতে রেখে দেয় মেয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, মৃতের নাম মিনতি কুন্ডু (শোভা)। তিনি হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত রামরাজাতলার নন্দীপাড়ার বাসিন্দা। সোমবার বিকেলে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাতে।

মৃতের ছেলে জানান, তিনি ২০০০ সাল থেকে ওই বাড়িতে থাকেন না। সেখানে তার মা ও বোন থাকত। ঘটনার কথা পাড়ার লোকেরা খবর দেয় তাঁকে। খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন।

যদিও মৃতের প্রতিবেশী সীমা দে জানান, সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ মৃত মিনতি দেবীর মেয়ে তাঁকে এসে তার মায়ের মৃত্যুর খবর দেয়। তিনি খাওয়া সেরে গিয়ে দেখেন মিনতি দেবীর দেহ বাড়িতে রয়েছে। তিনি তার মেয়েকে তার দাদাকে খবর দিতে বললে সে আপত্তি করে ও তার থেকে একজন মিস্ত্রির খোঁজ চায়। মেয়ে জানায়, সে তার মাকে বাড়িতে সমাধি দিয়ে রাখতে চায়। এরপর তার দাদাকে খবর দেওয়া হলে দাদা আসেন।

বোনকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও সে তার সিদ্ধান্তের কথা বারংবার জানাতে থাকে। অতঃপর জগাছা থানাতে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি আরও জানান এভাবে বাড়িতে মৃতদেহ রাখলে দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন জীবাণু ছড়ানোর ভয় থাকে তাই তিনি মৃতের মেয়েকেও বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও সে রাজি ছিল না বলেই জানান তিনি। তিনি জানান, মৃতের মেয়ে যথেষ্টই স্বাভাবিক ছিল। হয়তো একা থাকতে থাকতে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।

মৃতের ছেলে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পরামর্শে জগাছা থানাতে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এভাবেই দুদিন ধরে মৃতদেহ আগলে রাখার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অনেক কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে।