ঠেকানো যাবে না সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা আছড়ে পড়তে পারে দেশে বলে সতর্কবাণী শোনালেন এইমসের (AIIMS) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। এমনকী আগামী ৬–৮ সপ্তাহের মধ্যে দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। সংক্রমণ কমতেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজ্য আনলকের পথে হাঁটছে। সেখানে টিকা সঙ্কটের কারণে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাকরণ। তবে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধানও খারাপ বুদ্ধি নয় বলেই মনে করছেন এইমস প্রধান।
তিনি আরও জানান, তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাতে যাতে সর্বাধিক ক্ষতি এড়ানো যায় তার জন্য টিকাকরণের হার বৃদ্ধি করাই একমাত্র উপায়। এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে সকল মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এমনকী করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস প্রজাতী নিয়েও আতঙ্ক ব্যক্ত করেছেন এইমস প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে ডঃ গুলেরিয়া বলেন, ‘সংক্রমণের একটি ঢেউ তৈরি হতে মোটামুটি তিন মাস সময় লাগে, তবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তার থেকেও কম সময়ে সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। করোনাবিধি মানার পাশাপাশি কড়া নজরদারিও প্রয়োজন। গতবারই আমরা দেখেছি যে বাইরে থেকে নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট এসে কীভাবে তা রূপ বদলেছে এবং দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ভাইরাসের মিউটেশন হবে, তা জানা বিষয়। তাই কড়া নজরদারি রাখা প্রয়োজন।’
দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত কাটিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরছে দেশ। ইতিমধ্যে বহু জায়গায় শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। ফলে ফের পুরনো ভিড়ের ছবি ধরা পড়ছে। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া এই বিষয়টিতে জানান, আনলক শুরু হতেই করোনাবিধি শিকেয় উঠেছে। ফের মানুষের মধ্যে অসচেতনতা ধরা পড়েছে। চারপাশ দেখে মনে হচ্ছে, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমাদের কিছুই শিক্ষা হয়নি। ফের ভিড় জমছে, মানুষ জড়ো হচ্ছে। তার জন্যই ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়বে। টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হওয়া অবধি সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের বেশি হলেই সেখানে যাতে লকডাউন করা হয়, তার উপর জোর দেন এইমস কর্তা ডঃ গুলেরিয়া।