অসতর্কতার সুযোগে ঠিক যে পথে দ্বিতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছিল, সেই পথেই তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এইমস–সহ দেশ–বিদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করেছিল আগেই। এবার সরাসরি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অক্টোবর মাসেই চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
যদি একসঙ্গে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব রাজ্য–কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও বলা হয়েছে যাতে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিশুরা আক্রান্ত হলে যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন তার প্রায় কিছুই নেই দেশে। এ ছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে যে থার্ড ওয়েভ এলেও তার মোকাবিলা করতে তৈরি তারা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই বিষয়ে বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২৩,১২৩ কোটি থাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে। পেডিয়াট্রিক কেয়ারের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ তৃতীয় ঢেউতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।’
উল্লেখ্য, দেশে ভ্যাকসিনের গতিও প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। চিকিৎসক জানান, প্রতিদিন ১ কোটি মানুষকে আমাদের টিকা দিতে হবে, যা আমরা পারছি না। দেশের মাত্র ১০ কোটি মানুষের দুটি টিকা পেয়েছেন। ফলে এখনও একটা বড় অংশের মানুষ টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত, আর সেটাই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
