জেলা রাজ্য

অর্থ–খাদ্য সংকটে পড়েছে ওরা

ওরা ভাল নেই। কারণ করোনার জেরে চলছে লকডাউন। আর তাতেই রোজকার রুটি–রুজি জোগাড় করা কার্যত কঠিন হয়ে পড়েছে। ওরা সমাজের প্রকৃত খেটে খাওয়া মানুষ। সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ এবং হেমনগরে ওরা থাকে। দুই শতাধিক মাঝি নৌকা বা ভুটভুটি চালিয়ে সংসার চালান। পরিবারের লোক ধরলে ১০০০ মানুষ প্রত‍্যক্ষ–পরোক্ষভাবে নৌকা চলাচলের সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউনের জেরে রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ইচ্ছামতী, গৌড়েশ্বর এবং বেতনী–সহ একাধিক নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখান থেকে বহু মাঝি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে যেত। সেগুলিও বন্ধ হয়েছে। উলটে নদীতে রয়েছে পুলিশি নজরদারি। কোস্টাল থানার পুলিশ লকডাউন অমান্য করলেই জরিমানা ও আটক করছে। যার জেরে বিপদে পড়েছে মাঝি ও তাদের পরিবার। আর নদীতে মাছ ধরাও বন্ধ।
এখানে অর্থনৈতিক সমস্যা ও তার সঙ্গে দোসর হয়েছে খাবার সংকট। উভয় সংকটে জেরবার সুন্দরবনের মাঝিরা। তাই মাঝিদের আবেদন সরকার যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে জীবন–জীবিকা, রুজি রোজগার চালিয়ে যেতে পারবেন। লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি হলে তাদের অবস্থা সংকটজনক হবে বলে জানাচ্ছেন। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা জানান, আমরা মাঝিদের পাশে আছি। তাদের জন্য বিনামূল্যে রেশনের চালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীদিন যাতে স্থায়ী কিছু করা যায় সেই চিন্তা ভাবনা করছি।