প্রয়াত হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ব্রিটন জন টিনিসউড। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১১২ বছর। মঙ্গলবার তাঁর পরিবারের তরফে টিনিসউডের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। একইসাথে সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর, সোমবার একটি নার্সিংহোমে মারা যান টিনিসউড।
জানা গেছে, টিনিসউড ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট ইংল্যান্ডের লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেন। ভেনেজুয়েলার ১১৪ বছর বয়সী জুয়ান ভিসেন্তে পেরেজের মৃত্যুর পর গত এপ্রিলে টিনিসউড বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষের খেতাব দেয় গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্স কর্তৃপক্ষ।
টিনিসউডের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তার শেষ দিনগুলো ছিল গান ও ভালোবাসায় পরিবেষ্টিত। গত কয়েক বছরে যারা তার সেবা করেছেন তাদের সবাইকে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, যে বছর বিশ্ববিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল সে বছর টিনিসউড জন্ম নেন। জীবদ্দশায় তিনি দুটি বিশ্বযুদ্ধ, নানা সংঘাত ও সর্বশেষ করোনার মতো মহামারি দেখেছেন। টিনিসউড সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাব পাওয়ার পর গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেছিলেন, তার এত দীর্ঘ আয়ু পাওয়ার গোপন রহস্যটি ‘নিছকই ভাগ্য’।
তিনি বলেন, “হয় আপনি বেশিদিন বাঁচবেন, অথবা কমদিন বাঁচবেন। এটি নিয়ে আপনি বেশি কিছু করতে পারবেন না।” তবে স্বাস্থ্যবান হতে হলে ধৈর্য্যশালী হতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
প্রবীণ টিনিসউড বলেন, “যদি আপনি বেশি পান করেন, বেশি খান অথবা বেশি হাঁটেন। যদি আপনি একটি বিষয় খুব বেশি করেন। একটা সময় গিয়ে আপনি ভুগবেন।”
