বুধবার থেকে শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে সরকারের পক্ষ থেকে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শীতকালীন অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ দিতে হবে। বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়ান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ সৃষ্টি করেছে। একশো দিনের কাজের টাকা, গ্রামে রাস্তা তৈরির প্রকল্পের বরাদ্দ সময়মতো দেওয়া হচ্ছে না। তারা এই বিষয়ে শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনা চায়। তবে, বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। জানা গিয়েছে, তিনি আহমেদাবাদ যান। সেখানে রয়েছেন দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। তাঁকে সোমবার রাতে জয়পুর থেকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্যই আইনজীবীদের নিয়ে ডেরেকের আহমেদাবাদ যাত্রা বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এদিনের এই বৈঠকে কয়েকটি বিরোধী দল দাবি করে, সাধারণ সম্প্রদায়ের দরিদ্রদের জন্য ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষণের সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার সুযোগ দিতে হবে। ডিএমকে সহ দক্ষিণের একাধিক দল ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। একইসঙ্গে এদিন বৈঠকের পর লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা জানান, ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাত নিয়ে বিরোধীদের ঠিকমতো তথ্য প্রদান করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই শীতকালীন অধিবেশন সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা নিয়েও সংসদে আলোচনার পক্ষে আলোচনার দাবি তুলেছেন অধীর।
You must be logged in to post a comment.