চাকরি চাইতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে হাসপাতালে গেলেন এসটিজিটি চাকরি প্রার্থীরা। তবে চাকরির দাবিতে অনড় থেকে আগামী দিনে পথ অবরোধ থেকে শুরু করে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন তারা।
এদিন ত্রিপুরার শিক্ষা মন্ত্রীর বাসভবনের সামনে চাকরির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ২০২০ সালের টেট উত্তীর্ণ এসটিজিটি চাকরি প্রার্থীরা। অতঃপর পুলিশ এসে তাদের বিক্ষোভ আন্দোলন ভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে -এমনই অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের।
অভিযোগ, পুলিশের লাঠিতে মহিলা থেকে শুরু করে পুরুষ আন্দোলনকারীরা গুরুতর জখম হন। জখমদের আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছি… ছি… আওয়াজ তুলে ধিক্কার জানাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার মিথ্যা বাদি হিসেবে আখ্যায়িত করেন শিক্ষামন্ত্রীকে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২০ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য শিক্ষক পদে পরীক্ষা দেন তারা এবং উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকের সঙ্গেই দেখা করেন চাকরি প্রার্থীরা এবং এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কি তাও জানতে চান।
তাঁদের কথায়, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের বলেন, অর্থমন্ত্রক থেকে অনুমোদন না এলে তিনি ফাইল পাঠাতে পারবেন না। এদিকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী জানান, শিক্ষা দপ্তর থেকেএ বিষয়ে ফাইল পাঠানো হয়নি। ফলে দুই মন্ত্রীর দুই কথায় দ্বন্দ্বে পড়ে গেছেন চাকরি প্রার্থীরা।
তাঁরা আরও জানান, কিছুদিন আগেও সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সরকার যদি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে তারা আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির সামনে চাকরির জন্য আন্দোলন করতে এসে পুলিশের লাঠি পেটা খেতে হয় তাদের। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় শিক্ষামন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলে যান যদি আবোল তাবোল মন্তব্য করা হয় তাহলে তিনি ফাইল পাঠাবেন না। শিক্ষা মন্ত্রীর এই কথা থেকে পরিষ্কার এখনো এই ফাইল পাঠানো হয়নি। এদিকে নির্বাচনের ঘন্টা প্রায় বেজে গেছে। কবে এই ফাইল পাঠাবে এ নিয়ে চিন্তিত চাকরি প্রার্থীরা। তাই এদিন তারা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।