রাজ্যে এখনও সেভাবে শুরু হয়নি বর্ষা। এর মধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তদের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সাতটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গিয়েছে । এখন থেকে সতর্ক না হলে, গত কয়েক বছরের মতোই মহামারীর আকার নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ডেঙ্গি দমন সম্ভব তা নিয়ে শুরু হয়েছে পদক্ষেপ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।
ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জেলাশাসককে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, এলাকার সমস্ত জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হচ্ছে কিনা নজর রাখতে হবে। এলাকাবাসীদেরও সচেতন করতে হবে, যাতে সবাই মশারি টাঙায় ও জল জমতে না দেয়। এছাড়াও জেলায় জেলায় ও ব্লকে ব্লকে ডেঙ্গি সপ্তাহ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এলাকার জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ কাউন্সিলর প্রমুখদের নিয়েই প্রচার চালাতে হবে। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে, কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়।
ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনায়, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়াও হাওড়া, দুর্গাপুর, চন্দননগর, বিধাননগর, পানিহাটি, শ্রীরামপুর, দক্ষিণ দমদম, চুঁচুড়া, কামারহাটি, ঋষড়া – এসব এলাকায় থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি।