অবশেষে হুল দিবসে ছুটির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে হুল দিবসেও সরকারি কর্মীরা ছুটি পাবেন। তবে শুধুমাত্র হুল দিবস নয় ছুটি পাওয়া যাবে করম পূজা এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মানুষদের জন্মবার্ষিজাবেও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী বৈঠক শেষে জানিয়ে দেন, আদিবাসী সমাজ এগিয়ে চলুক জমি হস্তান্তর করা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘করম পুজো, হুল দিবস এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতাদের জন্মবার্ষিকীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল।’
এবার জেলার মানুষের দাবি মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকদিন ধরেই এই দাবি তাঁরা করছিলেন। এবার সেই দাবি পূরণ হল। হুল দিবসে ছুটির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত আদিবাসী মানুষজন। খুশি হয়েছেন সরকারি কর্মীরাও।
বার্ষিক আদিবাসী মেলা নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে জয় জোহর মেলা।’ তিনি আরো জানিয়েছেন ৭০৩টি জহর থান ও ১৫০৩ মাঝির থানের সংস্কার এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। আদিবাসী সমাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পেনশন ,জীবিকা, পানীয়জল ,সংস্কৃতি ,ভাষা ,ভূমি অধিকার সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, আজ কোচবিহারে বীর চিলা রায়কে সম্মান জানাতে মূর্তি তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি জানান, ওই ১৫ ফুট উঁচু মূর্তিটি কোচবিহারের বাবুরহাট চেকপোস্টে বসানো হবে। মূর্তিটি বসানোর জন্য ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। কোচবিহারে বীর চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।