যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার জেরে উত্তাল রাজ্য। এই অশান্তির আবহের মাঝেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ঠিক করেছিলেন যাদবপুরের আচার্য তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের নয়া উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করেই এই নিয়োগ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগ অবৈধ বলেও ইতিমধ্যে সরব হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয়। এর আগেও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী ১৪ জন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপরই রাজ্যপাল যে ১৪ জন উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন, তাঁদের উপাচার্য হিসেবে পারিশ্রমিক ও ভাতা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর।
জানা গিয়েছে,রাজ্যের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করেই ওই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। কার্যত সেকারণেই রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ জানিয়ে সে নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। এরপর উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেসময় হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছিলেন তা বৈধ। রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সনৎ কুমার ঘোষ।