বুধবার ভোর থেকে শিয়ালদহের দুটি শাখায় রেল অবরোধের জেরে নাকাল হতে হল নিত্যযাত্রীদের। একদিকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেললাইনের ওপর লোহার পাত ফেলে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় আপ ক্যানিং লোকাল অপরদিকে বনগাঁ শাখায় ঠাকুরনগর স্টেশনে কয়েকশ পুরুষ-মহিলা রেললাইনের ওপর বসে আটকে দেন রেল চলাচল। সূত্রের খবর, সাধারণের জন্য এদিন বনগাঁ শাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন বাতিল করার প্রতিবাদে মূলত এই অবরোধ। এদিন ভোরে প্রথম ট্রেনে বাতিল ছিল এবং দ্বিতীয় ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হয়নি। রেলের তরফে বলা হয়, ওই ট্রেন স্টাফ স্পেশাল করা হয়েছে। তাই সেখানে কেবল রেলেকর্মী, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরাই যেতে পারবেন। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রেনে ওঠার টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হয় এবং ট্রেনে উঠতে গেলে জরিমানার কথা বলা হয়। সবমিলিয়ে যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপরই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা ও ফুল বিক্রেতা। যাঁরা কলকাতা বা শহরতলিতে ফুল বিক্রি বা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। ফুল বিক্রেতাদের কথায়, নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর ফুল নিয়ে যেতে না পারলে তা অবিক্রিত থেকে নষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে হাজার হাজার টাকার কাঁচা মাল। যা তাঁদের রুজি-রুটি যোগান দেয়। ফলত তাঁরা ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছে রেলগেটে অবরোধ শুরু করেন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরপিএফ, জিআরপি সহ গাইঘাটা থানার পুলিশ। তবে বেলা যত গড়িয়েছে রেল অবরোধ করে নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিবাদ আরো তীব্র হয়েছে। শেষমেশ রেলপুলিশ ও লোকাল থানার সহযোগিতায় কোন প্রতিশ্রুতি ছাড়াই উঠে যায় অবরোধ।
|
