RG Kar হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এদিকে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের ওপর হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে মমতার সঙ্গে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠকের কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট পরে চিকিৎসকদের প্রায় ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল বাসভবনের সামনে পৌঁছে যান। কিন্তু তাঁদের দাবি অনুযায়ী বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচারে মমতা রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদলের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “আজ আপনারা বলেছিলেন আমার সঙ্গে বৈঠক করতে চান। তাই আপনাদের জন্য আমি অপেক্ষা করছি। আপনারা কেন আমাকে এভাবে অপমান করছেন? দয়া করে আমাকে এভাবে অপমান করবেন না। এর আগেও আমি আপনাদের জন্য তিনবার অপেক্ষা করেছি। কিন্তু আপনারা আসেননি।”
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের কাছে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, RG Kar এ মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই এ-সংক্রান্ত বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। মমতা পাল্টা প্রস্তাব দেন বৈঠকটি ভিডিও করা হবে। রায় হওয়ার পর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ভিডিওটির একটি কপি তাঁদের দেওয়া হবে। কিন্তু চিকিৎসকরা মমতার এই প্রস্তাবে রাজি হননি।
অপরদিকে শনিবার বিধাননগরের ডিসিপি অনীশ সরকার বলেন, “দুই পেশাদার অপরাধী স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে আমরা নিজস্ব সূত্রে জানতে পারি। দুই ব্যক্তির আলাপের একটি অডিও ক্লিপও আমাদের হাতে আসে। এই আলাপে তাদের ষড়যন্ত্র বের হয়ে পড়ে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, “আমরা অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেছি। সেটার ওপর ভিত্তি করে একটি মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির নাম সঞ্জীব দাস। তিনি অডিও রেকর্ডিংয়ে নিজের কণ্ঠস্বর থাকার কথা স্বীকার করেছেন।” গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে আদালতে তুলে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন করা হবে বলেও জানান ডিসিপি অনীশ সরকার।