আগামী কাল থেকে মধ্যবিত্তের পকেটে কোপ বসিয়ে রাজ্যে ফের বাড়তে চলেছে পাউরুটির দাম। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশেন কমিটির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিস আলী। তবে ২০ নভেম্বরের আগে বাড়তি দাম নেওয়া যাবেনা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, পাউরুটির নতুন এই দাম কার্যকর হলে ৪০০ গ্রাম পাউরুটির বর্তমান দাম ২৮ টাকা থেকে বেড়ে হতে চলেছে ৩২ টাকা। ২০০ গ্রাম পাউরুটির বর্তমানে দাম রয়েছে ১৪ টাকা থেকে বেড়ে হতে চলেছে ১৬ টাকা। অন্যদিকে,১০০ গ্রাম পাউরুটির দাম বাড়ছে ৭ টাকা থেকে বেড়ে হতে চলেছে ৮ টাকা।
এ প্রসঙ্গে ইদ্রিস আলী জানান,”জ্বালানী থেকে শুরু করে সমস্ত দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। পাউরুটি তৈরি করার জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের দরকার হয়। সেগুলিরও অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকেই আমাদের ময়দা কিনতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার জন্য প্রত্যেক দিনই ময়দা, আটার দাম অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ছে।”
ইদ্রিস আরো বলেন, “এর আগে ২রা জানুয়ারি যখন পাউরুটির দাম বেড়েছিল। তখন ময়দার দাম ছিল প্রতি কুইন্টালে ২৫০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে ময়দার দাম কুইন্টাল প্রতি ২৫০০ টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে ৩৩৫০ টাকা হয়েছে অর্থাৎ প্রতি কুইন্টাল ৮৫০ টাকা বেড়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে কম দামে পাউরুটি বিক্রি করা হয়। গুজরাট, বিহার, ঝাড়খন্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সমস্ত জায়গাতেই ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ৩৬ টাকা থেকে ৫০ টাকা। কিছু রাজ্যে পাউরুটির দাম ৫০ টাকারও বেশি। সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে পাউরুটির দাম অনেকটাই কম।”