প্রায় দু’বছর ঘরে আটকা থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিল মানুষ। দুর্গার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিল উৎসব প্রিয় বাঙালি। কিন্তু একদিকে করোনা আর বারবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় পুজোই মাটি হতে বসেছিল। তাই বৃষ্টি বন্ধ হতেই স্রোতের মত বেরিয়ে পরে মানুষ। আর হাবড়াও তাঁর যানজটের পুরনো ছন্দে ফেরে।
করোনার দাপটে আর্থিক সঙ্কট চারিদিকেই। তাই সাধারণ ভাবেই হাবড়ার দুর্গা পুজোর যে জৌলুস তা অনেকটাই ফিকে গত দু’বছর ধরে। মুখ্যমন্ত্রীর ৫০ হাজার টাকা অনুদান না পেলে হয়ত বন্ধ হয়ে যেত অনেক পুজো। কিন্তু যত ছোটই হক না কেন বাঁধনহীন গৃহবন্ধী মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায় ষষ্ঠী থেকেই। এই অবস্থায় বিশেষ করে করোনা এবং আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হাবড়ার পুরপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
হাবড়া পুরসভার মুখ্য পুরপ্রশাসক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানালেন, “করোনার কথা মাথায় রেখে পুজোর আগে থেকেই প্রতিটা ওয়ার্ডে জঞ্জাল সাফ করা হয়েছে, তাছাড়া পুজোর কয়দিন প্রতিটা মণ্ডপের চারপাশে ব্লিচিং দেওয়া হচ্ছে। যানজট এড়াতে বিকেল চারটে থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি ছাড়া টোটো,অটো,ভ্যান হাবড়া বাজারের উপর যশোহর রোডে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দ্যেশে জানিয়েছেন, “আনন্দ করুন কিন্তু অহেতুক ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।”
হাবড়া থানার আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,”পুজোর সময় যানজট এড়াতে যশোহর রোডে বেলঘরিয়ার কাছে এবং দু’নম্বর গেটের কাছে সব গাড়ি আটকে দিয়ে হাবড়ার বাইপাস দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ পিকেট বসান হয়েছে। পাঁচটি গাড়ি ও ১২টি মটর সাইকেলে এলাকায় টহলদারী চালানো হচ্ছে, রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশও। দুটি বুথ থেকে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচার চলছে।” সাধারণ মানুষের কাছে হাবড়া থানার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে যাতে নিজের আনন্দ অন্যের বিপদ ডেকে না আনে।
ছবিঃ হাবড়া অ্যাথেলেটিক ক্লাবের প্রতিমা