ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

বঙ্গ ভোটে ধর্মের রাজনীতি

‘আমি দক্ষিণেশ্বরের মন্দির বানিয়েছি, কালীঘাটের মন্দিরের উন্নয়ন করেছি, তারকেশ্বর মন্দিরের উন্নয়ন করেছি, তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন সেখানে মন্দির এখন কেমন হয়েছে। মতুয়াদের মন্দিরের জন্য টাকা দিয়েছি, অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরের উন্নয়ন করা হয়েছে।’ আজ বনগাঁয় জনসভা থেকে এই কথাগুলি বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ২০২১ এ হিন্দু ভোট টানতেই এই কথা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

দীর্ঘদিন ধরেই মুসলিম তোষণের অভিযোগ ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুসলিম ভোটকে একত্রিত করে ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা প্রকাশ্যে করেছে তৃণমূল, এমন দাবি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিরও। অপরদিকে চরম হিন্দুবাদী দল বিজেপি পশিমবঙ্গে ঝাঁপিয়ে পরেছে ২০২১ এর নির্বাচনের জন্য। তৃণমূলের মুসলিম প্রীতি তাদের হিন্দু ভাবাবেগে হওয়া দিতে সুবিধাই করে দিয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মিমির আগমন নিশ্চিতভাবেই মুসলিম ভোটে কিছুটা হলেও ভাগ বসাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কি এবারের ভোট ধর্ম নির্ভর হবে?

আসলে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের এখন হিন্দু তোষণ ছাড়া উপায়ও নেই। বিজেপির মত ধর্ম নির্ভর একটা দলকে রুখতে ধর্মকেই হাতিয়ার করতে হচ্ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে যে জিনিস আগে কখনও ছিল না সেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটল। ভারতের অন্যান্য বেশ কিছু রাজ্যে ভোটে ধর্ম, জাতপাত প্রধান নির্ধারক হলেও পশ্চিমবঙ্গে কোন কালেই রাজনীতিতে ধর্মের ছায়া পড়েনি। তবে কি ২০২১ এর ভোটেই বাংলায় রাজনীতিতে ধর্মায়ন শুরু হল? স্বভাবতই উঠছে প্রশ্ন।