বিমান দুর্ঘটনার প্রায় দু’মাস পর উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত মার্চে চীনের দক্ষিণ গুয়াংঝাউ প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭ বিমান। দুর্ঘটনায় মারা যায় প্রত্যেকেই।
তথ্য বলছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটানো হয়েছিল ওই দুর্ঘটনা। উদ্ধার হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকেই এমনটা জানা যাচ্ছে বলে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। বিমান দুর্ঘটনার পর শুরু হয় জোরদার তল্লাশি ও তদন্ত। প্রায় সপ্তাহখানেক গভীর জঙ্গলে তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। সেই ব্ল্যাক বক্সই প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোনও দুর্ঘটনা বা নিয়ন্ত্রণহীনতা নয়, ককপিট থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটিকে প্রবল গতিতে মাটির দিকে নামিয়ে আনা হয়েছিল। ফ্ল্যাইট র্যাডার এর তথ্য অনুযায়ী মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে বিমানটি ২৯ হাজার ফুট থেকে সরাসরি মাটিতে নেমে আসে। মাটিতে পড়ার কয়েক মুহূর্ত আগে বিমানটি সমতল বরাবর ঘুরে গেলেও ফের তার মুখ মাটির দিকে নেমে যায় এবং সজোরে মাটিতে আছড়ে পড়ে। ব্ল্যাক বক্স থেকে প্রাপ্ত তথ্যের পর মনে করা হচ্ছে, ককপিটে জোর করে কেউ ঢুকে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে ধোঁয়াশাতেই রয়েছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, চালক ও তাঁর সহকারীদের কারও স্বাস্থ্যজনিত কোনও সমস্যা ছিল না। কারওই অর্থনৈতিক কিংবা পারিবারিক কোনও সমস্যা থাকার কথাও জানা যায়নি। ফলে তাঁদের কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটিকে ক্র্যাশ করাবেন সেই সম্ভাবনা নেই। এও জানা গিয়েছে, বিমান থেকে কোনও আপৎকালীন সংকেতও পাঠাননি চালক।