আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের তালিকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। শাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার বিরোধীরা। তাদের দাবি, রাজ্য ও জেলা প্রশাসন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সার্ভে করার জন্য। সেই সার্ভে করতে গিয়ে হেনস্থা, মারধর এমনকি একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে।
এবার তারই উলট-পুরাণ দেখা গেল বসিরহাটে। এখানে আবাস যোজনার ঘরের নামের তালিকায় খোদ আশা কর্মীরাই! বসিরহাটের এক নম্বর ব্লকে গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনন্তপুর বছর ৪৫ এর রেহেনা মন্ডল দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আশা কর্মী কাজের সঙ্গে যুক্ত।
তিনি বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি পাশাপাশি আমার ছেলেও সরকারি চাকরির সঙ্গে যুক্ত আমি ঘর পাওয়ার যোগ্য নই। যারা যোগ্য তারা ঘর পাক। পাশাপাশি বছর ৪০ এর মনজুরা বিবি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আশা কর্মী পেশার সাথে যুক্ত। তারও নাম এবার আবাস যোজনার তালিকায় এসেছে বলে খবর।
কিন্তু একদিকে যাদেরকে আবাস যোজনার সঠিক উপভোক্তাদের তদন্তর নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেখানে খোদ আশা কর্মীদের নাম আবাস যোজনার ঘরে তালিকায় থাকার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ইতিমধ্যে বসিরহাটের এক নম্বর ব্লকের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্যর কাছে আবাস যোজনার তালিকার নাম কেটে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন আশা কর্মীরা।
মঞ্জুরা বিবি জানান, আমরা অসহায় ভাবে যেভাবে কাজ করছি, অনেকের ঠিকমতো সংসার চলে না। আমাদের দিকেও একটু সরকার নজর দিক যেভাবে আমরা আবাস যোজনা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছি তাতে আমরা খুব মানসিক চাপে রয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন উঠল কি করে এবার আশা কর্মীদের নাম জুড়ে গেল আবাস যোজনার দুর্নীতিতে!